যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের (বাবুল) মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঋণখেলাপির দায়ে আপিল শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে কমিশন।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার এই রায়ের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন একই আসনের আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মণ্ডল। সেই আপিলের শুনানির শেষে আজ তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

যদিও শুনানি শেষে বের হয়ে এনামুল হকের আইনজীবী হারুনুর রশিদ খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী। ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে ৫৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল করেছিলেন।

চতুর্থ দিনের মতো আজ নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে। সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শুরু হয়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, সচিবসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০১ থেকে ৪০০ নম্বর আপিলের শুনানি হবে। এরপর বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ৪০১ থেকে ৫০০ নম্বর এবং শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ৫০১ থেকে অবশিষ্ট আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

এএসএস/জেডএস