দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা প্রার্থীদের আপিল শুনানির তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। 

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে অবৈধ ৩৬ জনের মনোনয়নের বৈধতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে ২১ জন প্রার্থীর। সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে ৩ জন প্রার্থীর।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানিতে ইসির রায় অনুযায়ী এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিন সকাল ১০টায় আপিল শুনানি শুরু হয়।

আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এসব রায় ঘোষণা করেছেন।

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যে ৩৬ জন

মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোট, কুমিল্লা-১, মঞ্জুর; মো. বশির উদ্দিন, স্বতন্ত্র, ঢাকা-১৮, মঞ্জুর; হুমায়ুন সুলতান, স্বতন্ত্র, যশোর-৫, মঞ্জুর; মোছা. আশা মনি, স্বতন্ত্র, ঠাকুরগাঁও-৩, মঞ্জুর; মো. মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র, সুনামগঞ্জ-২, মঞ্জুর; মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বতন্ত্র, রংপুর-৬, মঞ্জুর; আব্দুর রহমান, গণফোরাম, কুমিল্লা-১১, মঞ্জুর; মো. মাসুম ইকবাল, স্বতন্ত্র, কুড়িগ্রাম-৪, মঞ্জুর; কাজী সরওয়ার আলম, কল্যাণ পার্টি, নোয়াখালী-২, মঞ্জুর; মো. মনিরুজ্জামান, স্বতন্ত্র, ঝালকাঠি-১, মঞ্জুর; সাহাবুদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র, মানিকগঞ্জ-২, মঞ্জুর; এম. এ মতিন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট, চট্টগ্রাম-১২, মঞ্জুর; মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, মৌলভীবাজার-৩, মঞ্জুর; রবিউল হোসাইন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, নোয়াখালী-২, মঞ্জুর; এহতেশামুল হক, স্বতন্ত্র, সিলেট-৩, মঞ্জুর; আবদুছ সালাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, কুমিল্লা-২, মঞ্জুর; জেড আই রাসেল, স্বতন্ত্র, ঢাকা-১৪, মঞ্জুর; মো. জহির, বাংলাদেশ কংগ্রেস, সিলেট-২, মঞ্জুর; আবুল হোসেন, তৃণমূল বিএনপি, সিলেট-৪, মঞ্জুর; মইনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, সিলেট-৩, মঞ্জুর; জয়নাল আবদীন, জাসদ, নোয়াখালী-৩, মঞ্জুর; এম অহিদুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, কুমিল্লা-১০, মঞ্জুর; হালিমা খাতুন, স্বতন্ত্র, লালমনিরহাট-২, মঞ্জুর; ফাতেমা জামান সাথী, স্বতন্ত্র, খুলনা-৩, মঞ্জুর; মো. ইমরান কবির চৌধুরী, স্বতন্ত্র, নীলফামারী-১, মঞ্জুর; আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, স্বতন্ত্র, গাইবান্ধা-১, মঞ্জুর; গোলাম রাব্বানী খান, স্বতন্ত্র, ফরিদপুর-৩, মঞ্জুর; মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ঢাকা-১৯, মঞ্জুর; হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস ব্যাপারী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ঢাকা-৭, মঞ্জুর;  বিটু মিয়া, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), নরসিংদী-৫, মঞ্জুর; মো. মাহফুজুর রহমান, গণফোরাম, নরসিংদী-৩, মঞ্জুর; শাহরিয়ার ইকবাল, জাতীয় পার্টি, ফেনী-১, মঞ্জুর; মো.ওবায়দুল, স্বতন্ত্র, রাজশাহী-৫, মঞ্জুর; মুসফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টি, নোয়াখালী-৬, মঞ্জুর এবং মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপি, ঢাকা-১৮, মঞ্জুর। 

আপিল আবেদন নামঞ্জুর হলো যে ২১ জনের

মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টি, বরিশাল-২, নামঞ্জুর; মো. মেজবাউল আলম, স্বতন্ত্র, বগুড়া-৭, নামঞ্জুর; এস. এম. এ. জলিল, বাংলাদেশ কংগ্রেস, খুলনা-৫, নামঞ্জুর; মো. মনির হোসেন মজুমদার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), চাঁদপুর-৫, নামঞ্জুর; মো. ইসহাক, স্বতন্ত্র, কক্সবাজার-৪, নামঞ্জুর; এম. তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র, কুমিল্লা-১১, নামঞ্জুর; এস. এম আবু মোস্তফা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), টাঙ্গাইল-৪, নামঞ্জুর; মো. আমজাদ হোসেন, স্বতন্ত্র, বগুড়া-৭, নামঞ্জুর; মো. শাহ আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কুমিল্লা-৫, নামঞ্জুর; হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, নামঞ্জুর; মো. মনজুর আলম, স্বতন্ত্র, চট্টগ্রাম-১০, নামঞ্জুর; এস এম রহিমুল্লাহ, জাসদ, নোয়াখালী-৪, নামঞ্জুর; মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান, স্বতন্ত্র, গাইবান্ধা-২, নামঞ্জুর; এস এম রাজু, স্বতন্ত্র, খুলনা-৬, নামঞ্জুর, মো. রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র, গাইবান্ধা-২, নামঞ্জুর; মো. শাহ আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ঢাকা-১৩, নামঞ্জুর; মো. ওসমান গণি, স্বতন্ত্র, চট্টগ্রাম-১০, নামঞ্জুর; সেলিনা ইসলাম, স্বতন্ত্র, লক্ষ্মীপুর-২, নামঞ্জুর; মো. মাসুদ খান, স্বতন্ত্র, ঢাকা-১৭, নামঞ্জুর; মো. নিপু হোসেন, স্বতন্ত্র, রাজশাহী-৩, নামঞ্জুর; সাবিনা, স্বতন্ত্র, ঢাকা-১২, নামঞ্জুর।

আদেশ পরে জানানো হবে যে ৩ জনের

মনিরা সুলতানা, বাংলাদেশ কংগ্রেস, খুলনা-৪; মো. খালেকুজ্জামান, স্বতন্ত্র, নওগাঁ-১; মো. রেজাউর রশীদ খান, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, সিরাজগঞ্জ-৬।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল ইসিতে জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিলগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। সারা দেশের ৩০০ আসনের বিপরীতে বিভিন্ন স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে রিটার্নিং অফিসার এসব মনোনয়নপত্রের বৈধতা বাতিল করেছেন। আজ আপিলের শুনানি হওয়ার পর ইসির সিদ্ধান্তে আপিল মঞ্জুর (মনোনয়নপত্র বৈধ), নামঞ্জুর (মনোনয়নপত্র অবৈধ), কিংবা পেন্ডিং রাখা হচ্ছে।

আরএইচটি/এমএসএ