‘বাবা-ছেলে’ বলার পরও মামলা
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) অফিস করেন শুক্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম। তার বড় ছেলে কাজ করেন নিউমার্কেটের একটি ওষুধের দোকানে। অন্য দিনগুলোর মতো আজও (১৫ এপ্রিল) একসঙ্গে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন বাবা-ছেলে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পৌঁছাতে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। মোটরসাইকেলে ছেলেকে বহন করায় মামলা খেতে হয় হালিমকে।
হালিম বলেন, ‘যতদূর জানি পরিবারের সদস্য হলে মোটরসাইকেলে একসঙ্গে দুইজন যাওয়া যাবে। আমি তো ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তাহলে মামলা কেন? সব সময় ছেলেকে দোকানে নামিয়ে দিয়ে যাই। গতকালও ছেলে বলার পর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আজ ছেলে বলার পরও মামলা দিলো পুলিশ।’
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেখানে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মোটরসাইকেলে দুজন চড়ায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস বাড়তে থাকায় মোটরসাইকেলে একজনের বেশি যাতায়াতে বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে বিশেষ বিবেচনায় পরিবারের সদস্য হলে সেক্ষেত্রে দুজন যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে। এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি, কলাবাগান, শুক্রাবাদ ও নিউমার্কেট এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। এতে কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া চলাচলকারীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। রিকশা, সাইকেল ও মোটরসাইকেলে চলাচলকারী অনেককেই সড়ক থেকে বাসার উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্ধুকে নামিয়ে দিতে এসে খেলেন মামলা!
শুক্রাবাদ চেকপোস্টে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলে চলাচলকারীদের বেশি চেক করা হচ্ছে। একা মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচলকারীদের মুভমেন্ট পাস থাকার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
পিন্টু নামে এক মোটরসাইকেল চালক জানান, মুভমেন্ট পাসসহ বের হওয়ার কারণ জানানোর পরও দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা বের হওয়া লোকজনের মুভমেন্ট পাস দেখছি। কমবেশি সবারটাই চেক করা হচ্ছে। সকাল থেকে অনেকেই মোটরসাইকেলে দুজন নিয়ে চলাচল করছেন। খুব নিকট পরিবারের কেউ হলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে দেওয়া হয়েছে মামলা।’
সাইন্সল্যাবের মোড়ে রিকশায় করে কর্মস্থলে যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হয়েছেন সাবরিনা নামে এক নারী। তিনি জানান, অফিস কোনো গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। পুলিশ রিকশা যেতে দিচ্ছে না। তাহলে অফিস করার উপায়টা কী?
এনআই/এমএইচএস/জেএস