প্রগতি সরণির কোকাকোলা এলাকায় পুলিশের চেকিং/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবুও কারণে-অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন অনেকে।

রাজধানীর প্রগতি সরণির কোকাকোলা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে চলছিল চেকিং। চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছিল। এসময় সুনির্দিষ্ট কারণ বা পরিচয় জানতে চাইছিল পুলিশ। যারা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি তাদের করা হয় জরিমানা।

কোকাকোলা মোড়ে তখন ব্যারিকেড দেওয়া, উপস্থিত পুলিশের বেশ কয়টি টিম। কুড়িল থেকে আসা সব প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহনকেই থামতে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ছাড় পাচ্ছে না কেউই। এ কারণে কোকাকোলার সামনে থেকে কুড়িল সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

চেকিং চলাকালে কুড়িলের দিক থেকে আসা একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে থামতে সিগনাল দেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা। থামানোর পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল, চালক নিজেই গাড়িটির মালিক। কোথায় যাচ্ছেন? পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে গাড়ির মালিক বললেন, ব্যাংকে গিয়েছিলাম। এরপরই আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানতে চান, হাফ প্যান্ট পরে ব্যাংকে ডিউটি করতে যাচ্ছেন আপনি?

জবাবে গাড়ির মালিক জানালেন, আসলে আমার বন্ধুকে ব্যাংকে নামিয়ে দিতে গিয়েছিলাম। তখন পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, আপনি জানেন না এ সময় অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে না। জবাবে গাড়ির মালিক বললেন, কাজেই তো বের হয়েছি। বন্ধুকে ব্যাংকে নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এভাবেই চলতে থাকে বাগবিতণ্ডা। কিন্তু তিনি চেকপোস্ট থেকে ছাড়া পাননি। শেষ পর্যন্ত সেই গাড়ি চালককে খেতে হলো মামলা, গুনতে হলো ৩ হাজার টাকা জরিমানা।

কোকাকোলা মোড়ে চেক পোস্টের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অকারণে বাইরে বের হওয়ার কারণে এই গাড়ির চালক আকরাম উদ্দিনকে জরিমানা করা হয়েছে। সরকারি আদেশ অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় তাকে ৩ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রগতি সরণির কোকাকোলা এলাকায় পুলিশের চেকিংয়ের কারণে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে এ জট শুরু হয়। এ যানজট কুড়িল বিশ্বরোড ছাড়িয়ে যায়। গাড়ির দীর্ঘ সারিতে অধিকাংশই ছিল ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), কিছু স্টাফ বাস এবং মালবাহী লরিও দেখা গেছে। এছাড়া কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে যায় যানজটে।

যানবাহনের এই দীর্ঘ সারি তৈরি হওয়ার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কাজে বের হওয়া মানুষকে। যদিও বেলা ১১টার পর চেক পোস্ট তুলে নেওয়া হয়। ফলে যানজট কমতে শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই এলাকাকে যানজটমুক্ত দেখা যায়।

এএসএস/এসএসএইচ/জেএস