কোনো আসনে শক্ত কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের আপিল নামঞ্জুর করছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিলে প্রার্থিতা ফেরত না পাওয়া ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ। তিনি বগুড়া-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল দেখিয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ বলেন, ‘উনারা কোনো কথাই শোনে না। শক্ত কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখলেই সেটি ক্যানসেল করে। অথচ ঋণখেলাপির মতো একজন প্রার্থীকে তারা বৈধতা দেয়। এ বিষয়ে আমি হাইকোর্টে আপিল করব। তারা হাইকোর্টে আপিল করার মতো বিষয়টি বেকায়দায় ফেলে রেখেছে। তারা তো এখান থেকে কোনো কাগজপত্র দিচ্ছে না। এই কাগজ দিতে ৩/৪ দিন লাগবে। তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব কবে, আর কাজ করবো কবে। নির্বাচন কীভাবে করব?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৩ শতাংশ স্বাক্ষর নিয়ে ডিসি মহোদয়ের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এক শতাংশ স্বাক্ষরই বেছে নিয়েছেন, সেটা ৩২০০ সামথিং হবে। সেখান থেকে ওভার দ্যা ফোনে দশ জনকে যাচাই করেছেন। আর কিছু লোকের বাসায় রাত বারোটা-একটার দিকে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গিয়ে বলেছে, থানা থেকে এসেছি। সেখানে ভয় কেউ বলেছে জানি না, আবার কেউ বলেছে জানি। আমি সেগুলো এফিডেফিট করে এখানে জমা দিয়েছি। চারজন আজকে আমার সঙ্গে এসেছিল। ইসি কোনো কিছু না শুনে তৃণমূল বিএনপির বাগেরহাট-২ আসনের একজন মহিলা প্রার্থী, একজন শতভাগ ঋণখেলাপি, তাকে বৈধতা দিলো। কিন্তু আমাকে দিলো না।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে  মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। বাছাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এরমধ্যে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন।

এমএইচএন/এসএম