দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। তার মধ্যে আপিলের প্রথম দিন রোববার (১০ ডিসেম্বর) ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৩২ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। আর ছয়জন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীর উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আপিল নামঞ্জুর হলো যাদের

খন্দকার আহসান হাবীব (টাঙ্গাইল-৫), সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ (টাঙ্গাইল ৬), সোহানা তাহমিনা (মুন্সীগঞ্জ-২); মোহাম্মদ ইমরান (চট্টগ্রাম-৪), মোহাম্মদ আবুল হোসেন (ময়মনসিংহ-১০), এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (খুলনা-৪), হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম (যশোর-৬), কাজী এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল (টাঙ্গাইল-৬), মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৫), স্বপন কুমার সরকার (চট্টগ্রাম-৫), সুব্রত চন্দ্র সরকার (নেত্রকোণা-২), মো. আসাফুদ্দৌলা (বগুড়া-৭), মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিলু (বগুড়া-৭), জুলফিকার আলী (বগুড়া-৭), মো. আতাউর রহমান (বগুড়া-৭), নজরুল ইসলাম মিলন (বগুড়া-৭), আনোয়ারুল কবির ওরফে রিন্টু আনোয়ার (ফেনী-৩), মো. আ. মান্নান মুসল্লী (রাজবাড়ী-১ ও ২), এস. এম আরিফুল ইসলাম (ঢাকা-৫), শফী আহমেদ (নেত্রকোণা-৪), নাহিদ ইসলাম (নওগাঁ-৬) এবং মো. নুরুল বশর (কক্সবাজার-৪)।

জাকের পার্টির ছয় জন আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি। তারা হলেন- মো. আব্দুল হালিম মন্ডল (জামালপুর-২), মো. ছমীর উদ্দিন (নেত্রকোণা-১), মো. হাবিবুর রহমান (যশোর-৫), টিপু সুলতান (কুমিল্লা-৯), জাহাঙ্গীর আলম (কুমিল্লা-১০) ও মো. নিজাম উদ্দিন নাছির (চট্টগ্রাম-৩)।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. হানিফ দিহিদার (ঢাকা-৬) ও ওমর খৈয়াম নয়ন (গোপালগঞ্জ-২), বিএনএফের জিল্লুর রহমান (রংপুর-২) এবং বিএসপির আফাজ উদ্দিনের (নারায়ণগঞ্জ-১) আপিল নামঞ্জুর হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে (বেজমেন্ট-২) আপিলের শুনানি প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১১ ডিসেম্বর ৯৫-২০০ নম্বর আপিল, ১২ ডিসেম্বর ২০১-৩০০ নম্বর আপিল, ১৩ ডিসেম্বর ৩০১-৪০০ নম্বর আপিল, ১৪ ডিসেম্বর ৪০১-৫০০ নম্বর আপিল এবং ১৫ ডিসেম্বর ৫০১ থেকে অবশিষ্ট আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

জেডএস