রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মো. সালাউদ্দিন (৩৮) মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুইজন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে দশটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, মহাখালী থেকে দগ্ধ অবস্থায় আটজন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। রাত পৌনে দশটার দিকে সালাউদ্দিন নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউর লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা খায়ের মিয়া নামে একজন মারা যান। আট জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুইজন মারা গেছেন একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন এখন পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

নিহতের ছেলে ইমন বলেন, আমার বাবা রয়েল ফিলিং স্টেশন এ লোড আনলোডের কাজ করতেন। ওই ঘটনায় আমার বাবাও দগ্ধ হন। তার শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি। আজ রাতে আমার বাবা শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান। আজ দুপুরের দিকে ওই এলাকার এমপি সাহেব আমার বাবাকে দেখতে এসেছিলেন। এখন আমি নিজেও জানি না কি করে আমাদের সংসার চলবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি ফেনী জেলার ফুল গাজী থানার নুরপুর গ্রামে। বর্তমানে মিরপুরের সেনপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বিপরীত পাশে রয়েল ফিলিং স্টেশনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আটজন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে আমির হোসাইনের ৩৫ শতাংশ, মো. মাসুমের ৬০ শতাংশ, মো. সালাউদ্দিনের ৬৫ শতাংশ, কামাল আবেদীনের ১৫ শতাংশ, মো. খায়ের মিয়ার ১৫ শতাংশ, জীবনের ৮ শতাংশ, মো. রানার ৫ শতাংশ ও মো. মামুনের ৫ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে।

এসএএ/এএএ