ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, হাট-বাজারের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা স্মার্ট ভূমি সেবার আওতায় আনা হচ্ছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন সম্পর্কিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, বিপিএএসহ কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূমি সচিব এসময় বলেন, স্মার্ট ভূমি সেবার আওতায় আনার অংশ হিসেবে হাট ও বাজারের তথ্য ভূমি তথ্য ব্যাংকে (ল্যান্ড ডাটা ব্যাংক) আপলোড করা হচ্ছে। এতে দেশের সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে হাট-বাজার আরও দক্ষতার সঙ্গে ইজারা দেওয়া সম্ভব হবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি দেশের মানুষ এর সুফল পাবেন।

আইন অনুযায়ী, 'হাট ও বাজার' বা 'হাট বা বাজার' শব্দটি এমন কোনো স্থানকে বোঝায় যেখানে সাধারণ মানুষ কৃষিপণ্য, ফলমূল, পশু, হাঁস-মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, খাদ্য ও পানীয়, শিল্প পণ্য এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো দৈনিকভিত্তিতে বা সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে ক্রয় ও বিক্রয় করে। ওই স্থানে এসব পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত দোকানও এর অন্তর্ভুক্ত। ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে মোট হাট ও বাজার সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৩টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ৯৭২টি ইজারাকৃত হাট ও বাজার থেকে সরকারের প্রায় ৭শত ৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

প্রসঙ্গত, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে হাট ও বাজার বিধিমালা-২০২৩ (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিলটি উপস্থাপন করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের খসড়াকৃত বিলটি উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন ছাড়াই জাতীয় সংসদে আইন হিসেবে প্রণীত হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ আইনের গেজেট প্রকাশ হয়। বর্তমানে এর বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শীগগিরই হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এমএম/পিএইচ