ধারণক্ষমতার বেশি তেল মজুত : বিআইডব্লিউটিসির ইঞ্জিন অফিসার বরখাস্ত
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি) ফেরির তেলের হিসেবে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।
ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ১১ হাজার ৫৫৩ লিটার তেল মজুত ও চতুরতার সঙ্গে প্রকৃত তথ্য গোপন করায় জুনিয়র ইঞ্জিন অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মকর্তার নাম মো. আবুল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটির চিফ পার্সোনাল ম্যানেজার মো. ফজলে রাব্বির সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে চলাচলকারী ফেরিসমূহের ২০২১-২০২২ সালের বিশেষ আন্তঃনিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ অভিযোগ উঠেছে। যেখানে, ফেরিতে (ফেরির নাম : কুমারী) তেলের চাহিদা, সরবরাহ, ব্যবহারে স্থিতি এবং ইঞ্জিন রুমের প্রতিদিনের লগবইয়ের হিসাবে বড় ধরনের অনিয়ম দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই জলযানে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ১১ হাজার ৫৫৩ লিটার তেল মজুত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওই সময়ে ইনল্যান্ড জুনিয়র ইঞ্জিন অফিসার মো. আবুল হোসেন ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিন কর্মকর্তা হিসেবে ফেরিতে (কুমারী) কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি প্রকৃত তথ্য গোপন করে অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের চাহিদা দিয়ে সেটি গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে সেটি আত্মসাৎ করেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি (অভিযুক্ত মো. আবুল হোসেন) জলযানের তেল গ্রহণের চাহিদাকারী হওয়ায় এর দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাকে বর্তমান কর্মস্থল (ফেরির নাম : কাবেরী) জলযান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী তাকে সংস্থার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এইসময় তাকে ডিসিপিএম (ফ্লিউ), নারায়ণগঞ্জ এর দপ্তরে নিয়মিত হাজির থাকতে হবে। এছাড়া যথাসময়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
আরএইচটি/এসকেডি