সারা দেশে ৫৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ পরিবারের নিরাপদ টয়লেট বা শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে কম ৩৭ দশমিক ৯২ শতাংশ রয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা ঢাকাতে। বিভাগটিতে এ হার ৬৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গৃহগণনা ও জনশুমারির জাতীয় প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে নিরাপদ বলতে- যেসব শৌচাগারে ফ্ল্যাশ করে বা পানি ঢেলে নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব শৌচাগারকে বোঝানো হয়েছে। বিবিএস ২০২২ সালে সারাদেশে জনশুমারি চলাকালে খানা জরিপ থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে।

বিবিএস বলছে, দেশে মোট পরিবার রয়েছে ৪ কোটি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬৭টি। এর মধ্যে নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৪টি পরিবারের। অনিরাপদ শৌচাগার রয়েছে ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৮টি পরিবারে। বাকি পরিবারগুলোতে রয়েছে কাঁচা ও আধা কাঁচা টয়লেট সুবিধা।

নিরাপদ শৌচাগার ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ঢাকা বিভাগের পর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে ৫৮.৮৮ শতাংশ পরিবারের নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগে এ হার ৫৫.২৬ শতাংশ। খুলনা বিভাগের ৫৪.৯২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৮.৫৯ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে।

বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, দেশের মানুষের একক শৌচাগার সুবিধা রয়েছে ৭৩.২৫ শতাংশ পরিবারে। শহরে ৭১.৮১ শতাংশ পরিবারের শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। গ্রামে ৭৩.৯২ শতাংশ পরিবারের রয়েছে এ সুবিধা। দেশের ১.২৩ শতাংশ পরিবারের কোনো শৌচাগার সুবিধা নেই।

এ বিষয়ে ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যেহেতু আমরা এখন উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি, সেহেতু সে জায়গায় সরকারকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে। নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থাপনা না হলে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়াতে থাকবে।

এমএইচএন/পিএইচ