আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সমাবেশ করতে ইসির অনুমতি লাগবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখনো এ বিষয়ে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে পরে চিন্তা করব। আমাদের আচরণবিধিতে যা আছে তাতে কোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে চাইলে আমাদের লোকাল রিটার্নিং অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের মিশন নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের নির্বাচনী এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট) উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৯ নভেম্ব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যৌথসভা করে ইইউ। বৈঠকে সংস্থাটির ১০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তারা অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন ইসিকে।

বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইইউ। গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এখন চলছে (১ থেকে ৪ ডিসেম্বর), রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

এএসএস/এমএ