দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি অগ্রসর হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। যা আরো ঘনীভূত হয়ে এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এ রূপ নিয়েছে। আগামী ৫ অথবা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের উপকূলে। সেজন্য দেশের নৌপথে নৌযানের চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

তবে এই বিষয়গুলো আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদীন। 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আবহাওয়া দপ্তর থেকে আমরা যেমন খবর পেয়েছি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যেহেতু কোনো ধরনের প্রভাব দেখা যায়নি তাই দেশের নদীবন্দরগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়নি। প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ আন্দামান সাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। 

আবহাওয়াবার্তা অনুযায়ী এই লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ আকারে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছে। পরে এটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ রূপ নিয়েছে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আগামী ৫ অথবা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে ২ ডিসেম্বর থেকেই
থেকে আবহাওয়া সংকেত ও বিআইডব্লিউটিএ'র জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। একইসঙ্গে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দেশের নৌ-রুটে চলাচল করা নৌযান বন্ধ রাখার বা নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরএইচটি/এমএসএ