সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক / সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) সাবেক চেয়ারম্যান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিককে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব পালন করছেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) ওই প্রার্থীকে তলব ও শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ড. মোহাম্মদ সাদিককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি ড. মোহাম্মদ সাদিক সংসদীয় আসন সুনামগঞ্জ-৪ হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হন। শোডাউন করে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন, যা সুনামগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায়, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮(ক), ১০(ক) এবং ১২ বিধির বর্ণিত বিধান লঙ্ঘন করেছেন।’

আরো বলা হয়েছে, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত না হওয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো এবং ওইরূপ প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে তদন্ত করে কেন নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না তৎমর্মে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সুনামগঞ্জ) আগামী ৪ ডিসেম্বর (সোমবার) বেলা ১১টায় আপনি স্বয়ং অথবা আপনার প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

নির্দেশনাটি দিয়েছেন সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাঁকন দে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ৭১২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এসআর/এমজে