নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। তিনি ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারি জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়,  চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে দেওদিঘী বাজার নামক স্থানে তার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন সমর্থকদের গাড়িসহ তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।

এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে নদভীর লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু আচরণ করেছে।

নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এমপি নদভীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ মোতালেব। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই দুজন ছাড়াও আসনটি থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আরও ৭ প্রার্থী।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

এমআর/এমএসএ