দিনাজপুরের চিরির বন্দর এলাকার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৭) ও মো. রাব্বিকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) র‍্যাব-৩ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মাসুম নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক তরুণীর। গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়টি ওই তরুণী তার পরিবারকে জানায়। পরে এ বিষয়ে দুজনের পরিবারই অসম্মতি জানালে মাসুম ও ওই তরুণী সেদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পালিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। 

এরপর তারা চিরিরবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। স্টেশনে পৌঁছানোর পরপরই ওই তরুণী ধর্ষকদের কুনজরে পড়ে। স্টেশনে তখন কোনো ট্রেন না পেয়ে তারা পায়ে হেঁটে ঘুঘুরাতলী নামক এলাকায় পৌঁছে। সেখান থেকে ইজিবাইকে চড়ে দিনাজপুরের দিকে রওনা দেয়। 

এদিকে, ধর্ষকরা ওই তরুণী ও তার প্রেমিককে অনুসরণ করে মাঝরাস্তায় তাদের পথরোধ করে। এরপর জোরপূর্বক দুজনকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীকে ও প্রেমিক মাসুমকে তারা মারধর করে আলাদা দুটি কক্ষে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে প্রেমিক মাসুম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে চিরিরবন্দর থানার দিকে দৌড় দেয়। অপরদিকে ধর্ষকরা একে একে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে নির্মাণাধীন ভবনটির পাশের ধানক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে প্রেমিক মাসুমের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর চিরিরবন্দর থানায় ওই তরুণী বড় বোন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন বলেন, মামলার পর এ বিষয়ে র‍্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমএসি/কেএ