মনোনয়নপত্র জমার দিনে আচরণবিধি লঙ্ঘন
আ. লীগ প্রার্থীদের শোডাউনে কাঁপল রিটার্নিং কার্যালয়
দ্বাদশ সংসদের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ। এদিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান বিভিন্ন প্রার্থীরা। আচরণবিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিল, মিটিং, সমাবেশসহ যাবতীয় জমায়েত নিষিদ্ধ। তবে তা মানেননি চট্টগ্রামের অনেক প্রার্থী।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ও দলটির স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত কয়েকজন প্রার্থী বিশাল বহর নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। এসময় তারা স্লোগানে স্লোগানে পুরো রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেন। কোনো কোনো প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে রীতিমতো সমাবেশও করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এমন শোডাউনে আটকা পড়ে যথাসময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন অন্তত ৪ প্রার্থী।
তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৯ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান গনি, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের রাশেদুল আমিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিঠুন দাশ এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে একই দলের বাসুদেব কুমার রায়।
তাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের শোডাউনে আটকা পড়ে যথাসময়ে পৌঁছাতে পারেননি। কিছুক্ষণ দেরিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছানোয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র জমা নেননি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেখা যায়, দিনভর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রার্থীর বিপুল সমর্থক উপস্থিতি ছিলেন। থেমে থেমে বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজনকে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এদিন দুপুরের পর চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ লতিফ বিশাল বহর নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। এই বহরটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে কয়েকঘণ্টা ধরে স্লোগান দেয় এবং সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপুল সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তাকে আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
এতে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ওই সাংবাদিককে থাপ্পড় দিয়ে শার্টের কলার ধরেন। এ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মোস্তাফিজ সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনবিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএ/এমএসএ