চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশন থেকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক থেকে জবানবন্দি নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে জবানবন্দি দিয়েছি। তিনি এমপি মোস্তাফিজকে শোকজ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়ন ফরম জমা দিতে যান। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকরা তাকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। একপর্যায়ে বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এতো লোক নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে এসেছেন, এটা তো নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন’ —এই প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে এমপি মোস্তাফিজ উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ওই সাংবাদিককে থাপ্পড় দিয়ে শার্টের কলার ধরেন। এ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মোস্তাফিজ সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। এমপি মোস্তাফিজ অনেক নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় আমার ওপর হামলা করেন এবং মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন। তিনি আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।

এমআর/এসএম