রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান ও শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) র‍্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এ তথ্য জানান।

চাঁদ উদ্যান এলাকায় গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. কালু শাহ্ (৫১), মো. রাসেল (২৪), মো. জানু (৩৫), মো. হাসান (৩২), মো. রনি (২৭),  মো. সুমন মাতুব্বর।(২০), মো. নাদিম (২৮), মো. জনি (২৮), মো. রুবেল (২৯), মো. হোসেন (৩২), মো. শাওন (২৪) ও মো. আলী (২৩)। 

এছাড়া পৃথক পৃথক অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, মো. আরমান সিকদার (২৩), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান (২২), মো. ইব্রাহীম ওরফে ইবু (২১), মো. শুভ আহমেদ ওরফে রাজু সরদার (৩২), মো. সাইফুল ইসলাম (২১), মো. জনি (৩৬) মো. রুবেল (২৩), মো. বাবু (৩৩), মো. ফয়সাল (২৪), মো. হাবিবুর রহমান (২৭), মো. হাসনাইন ওরফে হাসান (২০), মো. রাশিদুল (১৯)। 

র‍্যাব-২ এর এ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মত ঘটনা ঘটায়। 

সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও এর আশপাশ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। তারা চাঁদাবাজি ও পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইসহ শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রম ঘটায়।

সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম আরও বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়। সাধারণ মানুষ কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে এলাকার পথচারী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকালে ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। 

নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। এপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদেরকে তাদের কাছে থাকা ক্ষুর-চাকু ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডাকাতি ও ছিনতাই করে।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তাদের নামে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানায় র‍্যাব।

জেইউ/পিএইচ