বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে আদালতে কর্মরত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন, আদালতের মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা।

কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাব আলী এ তথ্য জানান।

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তা গ্রহণ করেন।

পরে কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামকে মামলাটি তদন্ত আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গে নন এফআইআরের দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। 

পরবর্তী সময়ে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করেছেন। এমনকি পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর দিয়ে আসামিদের দিয়ে দেন। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত। তাছাড়া, এ মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নেই এবং কোনো জরিমানা করেননি। 

বিচারক ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে দীর্ঘ দিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এনআর/কেএ