ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ভঙ্গে ৩-৫ লাখ টাকা জরিমানা
বিভিন্ন অপরাধে ৩-৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরও পড়ুন
এছাড়া বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বিদেশি কোম্পানি আইন না মানলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসার যে টার্নওভার আছে তার পাঁচ শতাংশ জরিমানা হিসেবে আদায় করা যাবে।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, তথ্য এখন সবচেয়ে বড় রিসোর্স। ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সম্মতির যে প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই বোর্ড এসব বিষয় দেখাশোনা করবে।
তিনি জানান, বোর্ডের প্রধানের পদ হবে চেয়ারম্যান, এতে চার জন সদস্য থাকবে।
উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা, বিধিবিধান থাকবে বলেও জানান মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই বোর্ড এসব তৈরি করবে। সেসব মেনেই সবাইকে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করতে হবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া করবে তাদেরও বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্যের বিভিন্ন ধরনের শ্রেণি বিভাগ থাকবে। কোনো তথ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা যাবে না। কিছু তথ্য ব্যক্তি অনুমতি দিলেও নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া করতে পারবে। বায়োমেট্রিক উপাত্তের মধ্যে ডিএনএর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি গবেষণায় এ আইন বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সেখানে তো কোন ব্যক্তির তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয় না।
এসএইচআর/এসএসএইচ