ব্যান্ডউইথের ৯০ কোটি টাকা এখনও বকেয়া দুই কোম্পানির
সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়ার অভিযোগে দেশে ইন্টারনেট সেবা দানকারী ১৯টি কোম্পানির সংযোগ সীমিত করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। গত (২৫ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসব কোম্পানির সংযোগ সীমিত করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবশ্য এরইমধ্যে অধিকাংশ কোম্পানি পুরোপুরি ও আংশিক বকেয়া পরিশোধ করেছে। ফলে সীমিত করা ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। তবে এখনও দুটি কোম্পানি প্রায় ৯০ কোটি টাকার বকেয়ার টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সচল করেনি বিএসসিপিএলসি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিএসসিপিএলসির কিছু আইআইজি, আইএসপি এবং আইজিডব্লিউ গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বকেয়া রেখেছে। সরকারি এ রাজস্ব পরিশোধ করার জন্য বারবার বলা হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো বকেয়া পরিশোধ করেনি। ফলে গত ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাত থেকে কিছু প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সংযোগ বকেয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হারে সীমিত করা হয়েছিল।
মির্জা কামাল বলেন, আমরা ৫০০ জিবিপিএসের (গিগাবিট পার সেকেন্ড) কিছু বেশি ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করেছিলাম। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি বকেয়া পরিশোধ করেছে। আর বাকি টাকাও দ্রুত পরিশোধ করার কথা তারা জানিয়েছেন। ফলে গতকাল পর্যন্ত আমরা ৩০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) দিয়ে রিকানেকশন (পুনঃ সংযোগ) করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, একটি বড় কোম্পানি ১৯০ জিবি ব্যান্ডউইথ সেবা নিয়ে থাকে। অথচ তাদের বকেয়ার পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা। আরেকটি কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণও ৩০ কোটি টাকা। তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। আর অধিকাংশ গ্রাহকই রিকানেকশন পেয়েছে। ডিসকানেক্টেড (সীমিতকরণের আওতায়) আইআইজি ছিল ১৯টি। গতকাল পর্যন্ত ১১টি কানেকশন পুনর্বহাল করা হয়েছে। যে কোম্পানির টাকা বাকি তারা যদি এক-তৃতীয়াংশ পেমেন্টও দেয় তাও আমরা কানেকশন করে দিব। না হলে সীমিত করা এই কানেকশন পুনরায় সচল করা যাবেনা বলেও জানান তিনি।
আরএইচটি/পিএইচ