রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে নিখোঁজের চারদিন পর তৌহিদুল ইসলাম (১৯) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েল রানা (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তৌহিদুল।

এ নিয়ে ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার  সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ডুমনি আমিরজান স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। ২৩ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে তৌহিদুল বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ বাসায় ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোনে কল করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তৌহিদুলের মোবাইল ফোন থেকে তার মাকে ফোন করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জানান তৌহিদুল তাদের কাছে আছে। তৌহিদকে পেতে হলে ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে।  টাকা না দিলে তৌহিদুলকে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)  গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা জানান, গ্রেপ্তার জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে টাকা আদায়ের জন্য তৌহিদুলকে কৌশলে ডেকে নেন জুয়েল। পাওনা ১০ লাখ টাকা ফেরত পেতে চাপ দিলে জুয়েলের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান তিনি। সেই ছুরি কেড়ে নিয়ে তৌহিদুলকে আঘাত করলে মৃত্যু হয় তার। পরে লাশ পাশের একটি কাশবনে ফেলে রাখা হয়।  

জুয়েল রানা একটি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন বলে জানান এসি রাজন।

এমএসি/এনএফ