অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত তার, বেলুন, রিং, পেস মেকারসহ নানা বর্জ্য ব্যবহার করে নিজের প্রতিকৃতি বানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটউ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) হাসপাতালটির ২০১ নম্বর রুমে স্থাপিত এই প্রতিকৃতির মোড়ক উম্মোচন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

এসময় ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের ভিন্নধর্মী এই পরিকল্পনার প্রশংসা করেন হাসপাতাল পরিচালক। 

তিনি বলেন, স্বনামধন্য একজন চিকিৎসক হিসেবে ডা. প্রদীপ কুমারকে এতোদিন আমরা চিনতাম। আজ আমরা ওনার আরেকটি বিশেষ গুণের বিষয়ে অবহিত হয়েছি, যা আমাকে খুবই অবাক হয়েছি। এই ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে একজন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টের প্রোট্রেট পৃথিবীতে কেউ করেছে বলে আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন, ডা. প্রদীপ হৃদরোগ হাসপাতালে বিভিন্ন জটিল অপারেশন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তার হাত ধরে আমরা আরও নতুন নতুন সফলতার মুখ দেখবো বলে আশা করি।

প্রতিকৃতি প্রসঙ্গে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা সুই, শিথ, ক্যাথিটার, তার, বেলুন, রিং , পেস মেকার, হার্টের ধমনীতে শক্ত ক্যালসিয়াম ভাঙার ড্রিল মেশিন, আইভাস ও ওসিটি ক্যাথেটারসহ এসব বর্জ্য সাধারণত হাসপাতালের ডাস্টবিনে চলে যায়। 

এগুলো আমি দীর্ঘদিন জমিয়ে আমার নিজেরই একটা প্রতিকৃতি বানিয়েছি। যদিও কাজটি করতে বেশ সময় লেগেছে, তারপরও শেষ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

বর্জ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বর্জ্যগুলো সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। এগুলোকে শতভাগ জীবানুমুক্ত করেই আমি কাজ করি। সুতরাং এখান থেকে সংক্রমণের কোনো ভয় নেই।

ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সঙ্গে তুলনামূলক কম খরচে এই অপারেশন করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশে এই অপারেশনের পথিকৃৎ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর টিএভিআর সফলভাবে অপারেশন করেছেন। 

এছাড়াও তিনি ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে প্রথম বারের মতো বুক না কেটে হার্টে ট্রান্স ক্যাথেটার এওর্টিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে পুরনো অ্যাওটিক ভালভের ভেতর নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করে নতুন করে আবারও আলোচনায় আসেন।

টিআই/এমএসএ