নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার বলেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তদন্ত করতে পারবেন যুগ্ম জেলা জজ বা সিনিয়র সহকারী জজের সমন্বয়ে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি। 

শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, জুডিশিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছেন নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়। নির্বাচনী মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে অপরাধী প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দণ্ড দিতে পারে। এই কমিটির ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন কমবে।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টা। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি করা হয়েছে। আগে বিচারিক কর্মকর্তা যারা কমিটিতে আসতেন তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সবসময় এ কাজই করবেন। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হলে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তারা এরই মধ্যে মাঠে আছেন। ফুল ফেজে কাজ করবেন রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময়ই এমন কমিটি চাইতাম। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে আগে সেটা সম্ভব হয়নি। এবার ৩০০টি আসনেই কমিটি করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে তিন দিনে তাদের ট্রেনিং হবে। প্রতিদিন ১০০ জন করে ট্রেনিং নেবেন।

ইসির এই যুগ্মসচিব বলেন, বিচারিক হাকিম থাকবেন ৬৫৩ জন। আমরা রিকজিশন দিয়েছি। তারা কাজ করবেন পাঁচদিন। ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন কাজ করবেন। তারা ৮৯(এ) অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, এসব অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।

এসআর/এসকেডি