যুদ্ধকে কঠোরভাবে না বলুন : প্রধানমন্ত্রী
মানবজাতি ও মানবতাকে বাঁচাতে হলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সব ধরনের যুদ্ধ ও সংঘাতকে কঠোরভাবে 'না' বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জি ২০ লিডার্স সামিট-২০২৩ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল ওই সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যুক্ত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বাধা। গাজা চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘আমরা ফিলিস্তিনে ১০ হাজারের বেশি নিরপরাধ-নিষ্পাপ শিশুসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষকে নির্মম হত্যা ও মর্মান্তিকভাবে গণহত্যা করতে দেখছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এইসব জঘন্য হত্যাযজ্ঞ গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্দশাকে আরো তীব্র এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে মন্থর করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আজকের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত সকল সম্মানিত বিশ্ব নেতার প্রতি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির এক সুরে আওয়াজ তুলতে এবং এ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অবিলম্বে নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পাঠাতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৎ প্রতিবেশী-সুলভ সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ও বিশ্বব্যাপী এর প্রসার একটি ভালো সূচনা হতে পারে।’
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলকে এগিয়ে নিতে আজকের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জি২০ নেতাদের ঘোষণা গ্লোবাল সাউথের প্রকৃত উদ্বেগ ও সমস্যাকে প্রতিফলিত করে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫ বছর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য ২০০৬ সালের ২৫.১ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যান্য অনেক কিছুর মধ্যে মাথাপিছু আয় পাঁচগুণ বেড়েছে।’
এমএসআই/এমজে