পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী ও কয়েদিরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা নিজ ভোটার এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
এছাড়া বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটাররাও নিতে পারবেন এই সুযোগ। এক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের নিকট পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তাহার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে ওই ভোটারের নিকট ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন, যে খামের উপর তারিখ প্রদর্শন করতে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।
কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে তার ভোট রেকর্ড করার পর ব্যালট পেপারটি তার নিকট প্রেরিত খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।
আরও পড়ুন
রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সাথে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাই কমিশনগুলো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
এসআর/এমজে