বিচারকদের ভয় দেখানোর জন্য আদালতে ককটেল হামলা করা হয় : ডিবি
বিচারক ও আইনজীবীদের ভয় দেখানোর জন্য আদালতে ককটেল হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হারুন অর রশীদ বলেন, সোমবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিবের জামিন আবেদনের শুনানি ছিলে। সেখানেও নাশকতাকারীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য বিচারকদের ভয় দেখানোর জন্য চারতলা থেকে ককটেল নিক্ষেপ করেছে। যদিও কোনো হতাহত হয়নি এ ঘটনায়। ডিবির টিম তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এছাড়া অন্যান্যদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে, বাসায় হামলা করতে পারে, তারা আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। কারা এসব কাজ করেছে আমরা সবার নাম পেয়েছি।
সামনের দিনে আরও বড় হামলার আশঙ্কা আছে কি না, আর নাশকতার নির্দেশনা দেশের বাইরে থেকে এসেছে কি-না জানতে চাইলে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, নাশকতার সঙ্গে জড়িত অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা স্বীকার করেছে, আগুন লাগানো তাদের দায়িত্ব। তারা আগুন লাগানোর পরে ভিডিও সিনিয়র নেতাদের পাঠানোর নির্দেশনা আছে। নাশকতাকারীরা আগুন লাগানোর পর ছবি ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে আমাদের। তার মধ্যে তারা লন্ডনের কথা বলেছে, ঢাকায় সিনিয়রদের কথাও বলেছে। সবার কথাই বলেছে।
নাশকতাকারীরা আগুন লাগানোর পরে অনুতপ্ত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাশকতাকারীরা অনেক দিন ধরে এই কাজটি করছে। তারা জানতে চায় এটার শেষ কোথায়। বাসে আগুন লাগাচ্ছে, ককটেল নিক্ষেপ করছে। তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু তাদের জামিনের জন্য কেউ কাজ করছে না। এমনকি যে বাসে আগুন লাগাচ্ছে সে গ্রেপ্তার হলে তাকে জামিন করতে কেউ এগিয়ে আসবে কি না, এই বিষয়টি ভেবেই তারা হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে সাধারণ মানুষের সম্পদে আগুন লাগিয়ে, এসব দেখিয়ে বেড়ানোর মতো ঘটনা না। এখানে একজন মানুষের জীবন জীবিকার প্রশ্ন। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এই নাশকতা পছন্দ করছে না। আমরা বারবার বলছি নাশকতা সৃষ্টি করে, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে পুলিশ পিছিয়ে যাবে না। এটা ফৌজদারি অপরাধ। তাই এই কাজ করে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এমএসি/জেডএস