নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে একটি দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়
বিরোধী দল বিএনপিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বা বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শাহরিয়ার আলম বলেন, সবার অংশগ্রহণ নির্বাচনের সৌন্দর্য বাড়ায়। একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের গঠনতন্ত্র ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না; এ রকম কাউকে দিয়ে শুধু শোভাবর্ধনের জন্য লোক দেখানো বা শোভাবর্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বা বিশেষ কোনো দলের অংশগ্রহণ ম্যান্ডেটরি নয়। এটা ম্যান্ডেটরি নয়।
আরও পড়ুন
সম্প্রতি একটি সেমিনারে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। কীসের ভীত্তিতে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘এর ভিত্তি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করাতে বিদেশিদের কাছে তাদের অনুনয়-বিনয় বা গ্রহণযোগ্যতা একেবারে শূন্যের কোটায় চলে গিয়েছিল। এসব তো আপনারাও দেখেছেন, আমরাও দেখেছি। রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
‘আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেদিন পর্যন্ত যে কারো নির্বাচনে আসাটা ওপেন। আবার যে কারো নির্বাচন থেকে সরে আসাটাও ওপেন।’
লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ নেতৃত্বাধীন কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য মিশনের মতো এটি একটি অগ্রগামী মিশন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ফিরে গিয়ে এফোর্ট দেবেন। সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। তারা একেবারে শেষ মূহূর্ত বা দেরিতে এসেছেন। তারা রিপোর্টটি খুব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কমনওয়েলথের যারা কর্তাব্যক্তি আছেন তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তারা আসবে কি আসবে না।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি যে, তারা আসবেন। আমরা নিশ্চিত করেছি যে, তাদের যে লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সেটি আমরা দেব। তারা আমাদের প্রটোকল টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেন তাহলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাদের সঙ্গে শুধু যে নির্বাচন নিয়ে আলাপ করেছি তা নয়। কমনওয়েলথের সঙ্গে আরও অনেক ব্যাপারে আমাদের যোগাযোগ আছে। অভিবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে আমরা অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাব।’
বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনারা জানেন, বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়াতে নির্বাচনের সময়ে একটু ক্যায়োটিক থাকে। তারা ওয়াকিবহাল।’
এনআই/কেএ