ঢাকা-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) থেকে এ রুটের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ চলমান থাকায় তা শুরু হয়নি। বুধ বা বৃহস্পতিবার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদত আলী।

তিনি বলেন, আজ ঢাকা-কক্সবাজার রুটের আগাম টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ চলমান রয়েছে। কাল বা পরশু দিন চালু হবে।

গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই লেনে এখনো বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরুর কথা রয়েছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ ভাড়াও নির্ধারণ করে বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে।

এদিকে, ট্রেন চলাচল শুরুর আগে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সাতকানিয়া অংশে আরও চারটি ব্রিজ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। কয়েকমাস আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভয়াবহ বন্যা হয়। এজন্য অপরিকল্পিত রেল লাইনকে দায়ী করেছিলেন কেউ কেউ। এসব বিষয় মাথায় রেখে সেখানে নতুন করে চারটি ছোট আকারের ব্রিজ করছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

ওএফএ/এসএসএইচ