চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালে জনগণের জানমাল রক্ষায় র‍্যাবের ৪২৫টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকায় ১৪৫টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‍্যাব ফোর্সেসের ১৪৫টি টহল দল সহ সারা দেশে ৪২৫টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। যেকোন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র‍্যাব টহলের মাধ্যমে এস্কট দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র‍্যাব।

এর আগে বিএনপির চলমান কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।

এদিকে রোববার থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬টি আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১৮টি যানবাহনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, ঢাকা বিভাগ একটি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (ফেনী, মিরসরাই, সাতকানিয়া) চারটি, ময়মনসিংহ বিভাগে (জামালপুর) একটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯টি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি ট্রাক, একটি সিএনজি, একটি ট্রেন (৩ বগি) পুড়ে যায়।

হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত ১৭ নভেম্বর সকালে।

এমএসি/এসএম