প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে আরও দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিমি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলের ১১ জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় জরুরি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবগুলো ইউনিটকে।

অন্যদিকে ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গতকাল রাতের পর ১৫ ট্রলারের ২০০ জেলে নিখোঁজ থাকার দাবি করা হয়েছে।

সকালে সাড়ে ৯টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ৬ দেখাতে বলা হয়েছে।

এসএম