হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হকের গুলশানের বাসায় ঘিরে তাকে আটকের চেষ্টা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। তবে বাসায় থাকলেও তাকে আটক করা যায়নি। র‍্যাব জানায়, তিনি একাধিক ফৌজদারি মামলার আসামি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় প্রবেশ করে র‍্যাব। তবে তমিজী বার বার আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

র‍্যাব-১ এর ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাকে আটক করতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তমিজী হক। এমনকি নিজের স্ত্রীকে হত্যার হুমকিও দেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় তাকে আটক করা হয়নি। 

এদিকে র‍্যাব মিডিয়ার পক্ষ থেকে অভিযানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও স্থানীয় গুলশান থানা পুলিশ অভিযান চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত ১৩ নভেম্বর রাত ১২টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন আদম তমিজী হক। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে তিনি শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন।

এর আগে এবছরের সেপ্টেম্বরে তমিজী হক ফেসবুকে ঘোষণা দেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। তারপরে তিনি ফেসবুক লাইভে তার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে তাকে তার দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাকে বরখাস্ত করে।

অবশ্য পরবর্তী সময়ে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে ক্ষমা চান তমিজী হক। তিনি বলেন, অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করেছেন, যা একদমই উচিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন।

এআর/এসএম