দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচি দিচ্ছে সরকারবিরোধী দলগুলো। তারই অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিগুলোও অব্যাহত আছে। এতে পোড়ানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের যানবাহন বাস। ফলে বাসে ওঠাটা অনেকে নিরাপদ মনে করছেন না। যেসব গন্তব্যে বাসের পাশাপাশি ট্রেন রয়েছে, সেখানে নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনকেই বেছে নিচ্ছেন জনসাধারণ।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ ট্রেন ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জ রুটের যাত্রীদের যেন ট্রেনই একমাত্র ভরসা। প্রতিটি ট্রেন ভরে মানুষে আসছেন ঢাকা স্টেশনে। এ ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতেও যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তি রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মমিনুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ট্রেনে আসাটাই সবসময় সহজ। তারপরও যারা বাসে আসতেন তারা বর্তমান সময়ে ট্রেনেই আসছেন। কারণ, একটু পরপরই কোথাও না কোথাও বাসে আগুন লাগার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান সময়টায় চলাফেরা করতে সবসময় সর্তক থাকতে হবে।

জয়দেবপুর থেকে আসা মোর্শেদা চমক বলেন, গাজীপুরে মা-বাবার সঙ্গে থাকি। কাজের সুবাদে সপ্তাহে ৫ দিন ঢাকায় আসতে হয়। দীর্ঘ সময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। রাজনৈতিক অস্থিরতায় কিছুটা ভয় হয়। তবুও চলাচল করছি। ট্রেনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক মানুষ ছিল। 

 

যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে সরিষাবাড়ী থেকে আসা হোসাইন সাক্ষর বলেন, অবরোধে সবাই ট্রেনকে নিরাপদ মনে করে। আজ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এসেও দেখলাম ট্রেনে ভিড় ছিল। যা অন্যান্য সময়ে থাকে না। সরিষাবাড়ী থেকে টিকিট কাটতেও অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে।

সার্বিক বিষয় সম্পর্কে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সবকটি ট্রেন সময় মতো ছেড়ে গেছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ট্রেনের যাত্রীর চাপ বেশি আছে।

এমএইচএন/এনএফ