দেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ৬০০ করা হয়েছে; আমি মনে করি এই বিষয়ে তাদের আপত্তি থাকলে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বসে একটা সমাধানে আসার অবস্থান রয়েছে। সেটি না করে তারা এগুলো করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি দেশেরও ক্ষতি হয়। অবশ্যই গার্মেন্টসকর্মীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার একজন বিএনপি নেতা কোনাবাড়ীতে আন্দোলনরত গার্মেন্টসকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছিলো, ঐক্যবদ্ধ করছিলো— এ রকম বিভিন্ন ঘটনা আমাদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। তথ্য আছে তারা সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। এরাই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।

ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী বিজিএমইএর ব্যবসায়ীরা এই বেতন বাড়িয়েছেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছেন।

“তাদের মনে অনেক সংশয় আছে বলে আমরা শুনতে পেয়েছি যে সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড— এগুলোর কী হবে। গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ এগুলোর সমাধান করে দেবেন। তারাও তো ব্যবসা করেন।”‍

আগুন, ভাঙচুর কিংবা রাস্তা অবরোধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

এদিকে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

এমএম/এমজে