বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে রোববার থেকে। মাঝখানে শুক্র ও শনিবার কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। আর এ ফাঁকে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীদের আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির বাস। তবে যাত্রীদের আনাগোনা বাড়লেও সংখ্যায় তা খুবই কম বলে দাবি করেছেন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ টার্মিনালটিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি। যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে যাত্রী সংখ্যা অবরোধের সময় থেকে বেশি হলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে।

যাত্রী কমের বিষয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোববার থেকে আবার অবরোধ শুরু হবে। সেই সময় যান চলাচল কমে যাবে। এছাড়া বাসে আগুন দেওয়ার একটা আতঙ্ক তো আছেই। তাই খুবই প্রয়োজন না থাকলে কেউ আর বাসা থেকে বের হচ্ছে না। কেননা অবরোধ শুরু হলে ঢাকায় সময় মতো ফিরতে না পারার শঙ্কা থেকে যায়। এছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মানুষ ভ্রমণ করতে একটু ভয় পাচ্ছে।

জরুরি প্রয়োজনে ময়মনসিংহ যেতে হচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. সাগরকে। তাই এনা পরিবহনের একটি বাসে টিকিট কেটেছেন তিনি।  

তিনি বলেন, আজ বাড়ি যাচ্ছি পারিবারিক কারণে। বুধবারে আমার যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অবরোধের কারণে যেতে পারিনি। আজ যাচ্ছি, আবার আগামীকাল ফিরে আসতে হবে, অবরোধ শুরু হওয়ার আগে।

ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামে যাচ্ছেন মো.মিজানুর। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে এতদিন যেতে পারিনি। বাসে যেভাবে আগুন দেওয়া হচ্ছে ভয়ে এতদিন যাওয়ার সাহস করিনি। আজ যাচ্ছি আবার আগামীকাল দুপুরের দিকে রওনা হয়ে যাব অবরোধ শুরু আগে ঢাকায় ফিরব।  

এদিকে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ কাউন্টার থেকে নিয়মিত বিরতিতে বাস ছেড়েছে। আজকের মতো আগামীকাল যাত্রী কম হলে বাসের চলাচল কিছুটা সীমিত হয়ে আসতে পারে।

এ বিষয়ে এনা পরিবহনের কাউন্টারের স্টাফ মো.আমিনুল বলেন, আজ প্রতিটি রুটের সব বাস নিয়মিত ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই অবস্থা আগামীকাল থাকলে এতো বাস হয়ত সব গন্তব্যে যাবে না। এখন পর্যন্ত কোনো বাসের প্রতিটি সিট পূর্ণ হয়নি।

ঢাকা থেকে কসবাগামী কাজী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো.সিরাজ বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩টা বাস কসবার উদ্দেশে ছেড়েছে। যাত্রী সংখ্যা খুবই কম ছিল। এভাবে চলতে থাকলে আগামীকাল হয়ত আরও কম বাস ছাড়া হবে। 

এমএসি/এসকেডি