পোশাকশ্রমিকদের জন্য যে নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে তা অতি নগণ্য উল্লেখ করে এই মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। 
 
আজ (শুক্রবার) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পৃথক সমাবেশে এই একই দাবি জানানো হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, বাসদ এসব সমাবেশ করে। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাজারে আলুর দাম কত, পেঁয়াজের দাম কত, প্রত্যেকটা জিনিস এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে আমাদের শ্রমিকদের পক্ষে কোনোভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব না। তাই আমরা ১২ হাজার ৫০০ টাকার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সরকারকে আহ্বান করি, এখনও সময় আছে। ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে গেজেট হয়, সেই গেজেট এখনও হয়নি। তাই এখানে আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি। আশা করি মজুরি পুনর্বিবেচনা করে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। 

গত বুধবার নিম্নতম মজুরি বোর্ডে এক ঘণ্টার বৈঠকে পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বেড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারিত হয়। বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে থাকা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

আজকের সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত পরশু গাজীপুরে বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকরা ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি পুনর্বিবেচনা করতে আন্দোলন করছিল। তখন সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে, শ্রমিক হত্যা করেছে। নিহত শ্রমিক আঞ্জুয়ারা ও তার স্বামী জামাল ঢাকায় এসেছিল তার দুই শিশু সন্তানকে রেখে। ঢাকায় এসেছিল আরেকটু ভালো থাকার আশায়। যদি মজুরি বাড়তো তাহলে তিন বেলা খেয়ে পড়ে থাকার নিশ্চয়তা পেত। মজুরি আন্দোলন করার অপরাধে আঞ্জুয়ারাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা অবিলম্বে আঞ্জুয়ারা হত্যাকারীদের বিচার চাই এবং ক্ষতিপূরণ চাই।

বক্তারা আরও বলেন, কারখানা বন্ধ করে দেবেন, শ্রমিকদের ছাঁটাই করবেন, কারখানায় চাকরি দেওয়া হবে নাসহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন এই মজুরিই মেনে নিতে হবে। আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, শ্রমিকদের মজুরি দিন, যাতে তারা বেঁচে থাকতে পারে। আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রলেপ দিয়ে ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করার কোনো সুযোগ নেই।

এমএইচএন/এনএফ