সংস্কারের আগে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করত সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার বেগে। নবনির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ভারী ইঞ্জিন চলাচল ও গতি বাড়ানোর জন্য সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংস্কারের পরও সেতুটি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ। কথা ছিল সংস্কার কাজ শেষে সেতু দিয়ে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করবে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৪ নভেম্বর সেতু দিয়ে ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। পরদিন রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদপ্তরের একটি টিমও সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল সম্পন্ন করেছেন। তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এরপর প্রকৌশল বিভাগ থেকে আমরা সেতু দিয়ে আপাতত সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের সুপারিশ করেছি।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল কালুরঘাট সেতু। সেতুটির আগের এক্সেল লোড ছিল ১১। বুয়েটের পরামর্শে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের আগে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট থেকে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন সেতু দিয়ে ১৫ এক্সেল লোডের ইঞ্জিন চলাচল করতে পারে।

কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মাণ করে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর ওপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই ৬৩৮ মিটার সেতুটি এর আগে দুই বার সংস্কার করা হয়েছে। ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।

৯৩ বছরের পুরনো এই সেতু দিয়ে আগস্টের আগ পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতো। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

এমআর/এনএফ