মতিঝিলে মেট্রোরেল : সময় সাশ্রয় হয়েছে কর্মজীবীদের
অনেক অপেক্ষার পর উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচল শুরু করেছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের কল্যাণে উত্তরা থেকে মতিঝিলে মাত্র ৩২ মিনিটেই পৌঁছানো যাচ্ছে। ফলে এই পথের যাত্রীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে মেট্রোরেল। একইসঙ্গে সময় সাশ্রয় হয়েছে মতিঝিলে কর্মরত কর্মজীবীদের।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে মতিঝিল স্টেশন ঘুরে জানা গেছে, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন অফিসে কর্মরত কর্মজীবীরা উত্তরা, মিরপুর, আগারগাঁও এবং ফার্মগেট এলাকা থেকে আসছেন। প্রতিটি ট্রেনেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী রয়েছে। শুধু তাই নয়, মতিঝিল থেকেও বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা বলছেন, অন্তত চালু হওয়া মেট্রোরেল পথে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরা-মতিঝিল যাত্রাপথের সময় কমিয়েছে অন্তত দেড় ঘণ্টা।
বিজ্ঞাপন
মতিঝিল থেকে মিরপুর-১০ স্টেশনে যাবেন মাইসা ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ১১টার সময় ক্লাস আছে। সকালে সব কাজ শেষ করে সাড়ে ১০টায় মতিঝিল স্টেশনে আসলাম। এখন জাস্ট ট্রেনে উঠবো।
তিনি আরও বলেন, টিকাটুলির বাসা থেকে আগে মিরপুর যেতে অন্তত দেড়-দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। তখন ঘুম থেকে উঠতে হতো সকাল ৮টার মধ্যে। এরপর শুধু নাস্তা করে রওনা হয়ে যেতাম। এখন ঘুম থেকে উঠে আম্মাকে কাজে সহায়তাও করতে পারি। নিজের জন্যও কিছু সময় পাওয়া যায়।
মতিঝিল আসা যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের তো অনেক বড় উপকার হয়েছে। এখন অফিস যাওয়ার জন্য কোনো চিন্তাই করতে হয় না। পাস থাকায় টিকিট কাটতেও দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু আমাদের অফিস তো শেষ হয় ৫টায়। এমনিতেই অবরোধ চলছে। তার মধ্যে ওই সময় বাসে আসা সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ওই সময় মেট্রো চালু করলে আমাদের যাতায়াতে আর কোনো সমস্যাই থাকতো না।
আরও পড়ুন
যাত্রী ইব্রাহিম বলেন, প্রচুর মানুষ তাই সিট পাওয়া যায় না। তবে দাঁড়াতে সমস্যা হয় না। জার্নি রিল্যাক্স। হেসেল টা অনেক কমে গেছে। আগে বাড়তি সময় নিয়ে বের হতে হতো। এখন ফিক্সড টাইমে যাওয়া যায়।
মতিঝিল স্টেশনে দাঁড়িয়ে জনতা ব্যাংকের কর্মী মনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাত্র ২০ মিনিটে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মতিঝিল এলাম। আগে আমাকে সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠতে হতো। এরপরেও এখানে পৌঁছাতে প্রায় দশটা বেজে যেত। এখন মঙ্গলবার থেকে সকালে নিজের জন্য কিছু সময় পেয়েছি। কিছুটা সময় পরিবার কেও দিতে পারি।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা সোনিয়া খন্দকার জুই ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাসা কল্যাণপুরে। সেখান থেকে এই মতিঝিল আসতে আমাকে অন্তত পৌনে আটটায় বাসে উঠতে হতো। এই মতিঝিল পৌঁছাতে কখনো দশটা বা সোয়া ১০টা বেজে যেত। আমি এখন নয়টার সময় বাসা থেকে বের হয়েছি এবং আপনার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছি সকাল সাড়ে নয়টায়। আমার কল্যাণপুরের বাসা থেকে বের হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত আসতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লেগেছে।
এমএইচএন/জেডএস