কালু মিয়া ও তার সহযোগীরা

প্রেমিকাকে ফুঁসলিয়ে ঘরে ডেকে অশ্লীল ভিডিও ধারণ। সে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি। এরপর ধর্ষণ। শেষে জিম্মি করে প্রেমিকার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন কথিত প্রেমিক কালু মিয়া। 

অভিযান চালিয়ে কালু মিয়া ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমকে। রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা। গ্রেফতাররা হলেন, কালু মিয়া প্রকাশ রাজু (১৯), সোহেল মিয়া (১৯), দুলাল বাবুর্চি (৩৭) ও তারেক আকবর (১৯)। 

পুলিশ কমিশনার বলেন, ভিকটিম সুমনা (ছদ্মনাম) (১৬) কোতোয়ালি থানাধীন রহমতগঞ্জে জিতু নামক ব্যক্তির বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে। গত ৯ এপ্রিল সে কাজ শেষ করে রহমতগঞ্জ রোডে আসা মাত্রই এক সপ্তাহের পরিচয়ের প্রেমিক কালু মিয়া ও কালু মিয়ার চাচাত ভাই মো. সোহেল মিয়ার (১৯) সঙ্গে দেখা হয়। তখন তারা ভিকটিমকে তাদের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে যেতে বলেন। 

যেতে রাজি না হলে তারা ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি সিএনজিতে তুলে মীর আউলিয়া মাজারের পাহাড়ে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর কালু মিয়া ভিকটিমের সঙ্গে পাহাড়ের ওপর নির্জন স্থানে ধস্তাধস্তি করেন। হঠাৎ দেখতে পান তাদেরই একজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছেন।  

পরে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে সকলে মিলে শাপলা আবাসিক মডেল পল্লী নবাব মিয়ার বাড়িতে একটি রুমে আটক করে ভিকটিমের নিকট হতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে কালু মিয়া ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে সংবাদ পেয়ে শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

নোবেল চাকমা বলেন, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের মধ্যে কালু কিছু সহজ-সরল প্রকৃতির মেয়েদেরকে টার্গেট করে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কের টানে ভিকটিমদেরকে পাহাড়ে নিয়ে যান। পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন। মুক্তিপণ আদায় শেষে ভিকটিম তথা কথিত প্রেমিকাকে ছেড়ে দেন।

ভিকটিম সুমনা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৮/৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

কেএম/আরএইচ