লেখনীকে দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, লেখনীর মধ্য দিয়ে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে, আলোড়ন সৃষ্টি করতে হবে। লেখনীকে দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে। যাতে এদেশে আর কখনো হরতাল, অবরোধের নামে অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় এবং কেউ অপরাজনীতি করার সুযোগ না পায়। শুধু জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে এদেশের রাজনীতি নিবেদিত হয়। এ বিষয়ে লেখক এবং প্রকাশকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। লেখনী ও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে তাদের জনগণকে প্রভাবিত করতে হবে, সচেতন করতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহ ও উন্নয়ন এবং আইএসবিএন বরাদ্দ ও ব্যবহার বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্কাইভ হলো লেখক ও প্রকাশকদের অমরত্বের স্থান। কেননা, সেখানে তাদের মূল্যবান সৃষ্টিকর্ম যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংরক্ষিত থাকে। কপিরাইট আইন ২০২৩ এর ৫৯ ধারা মোতাবেক আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রকাশকদের বই সরবরাহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নতুন প্রজন্মের স্বার্থে ও নিজেদের সৃষ্টিকে অমর করে রাখার লক্ষ্যে তিনি এসময় লেখক-প্রকাশকদের আইন অনুযায়ী প্রকাশিত বইয়ের একটি কপি আর্কাইভে সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. খান মো. নুরুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো. দাউদ মিয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শাহনাজ সামাদ ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সৃজনশীল সাহিত্য স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটন।
ওএফএ/কেএ