পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সামনে আন্দোলন করছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি জানাচ্ছেন শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা।

এদিকে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের লক্ষ্যে মজুরি বোর্ডের সভা কক্ষে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাদের প্রস্তাবগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের পর পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। এটি মজুরি বোর্ডের ৬ষ্ঠ সভা। 

অন্যদিকে বৈঠকের মধ্যেই গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ও এর আশপাশের বিভিন্ন কারখানার বেতন বাড়ানোর দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

এর আগের সভায় মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৪ টাকার প্রস্তাব করেন। আর মজুরি বোর্ডে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। উভয়পক্ষ প্রস্তাবনায় তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। 

শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে মজুরি বৃদ্ধি গার্মেন্টস আন্দোলনের নেতার বলছেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। শ্রমিকদের গ্রেপ্তার-হত্যা-মামলা-ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চের নেতারা বলছেন, অবিলম্বে মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। দিতে হবে ৫টি গ্রেড এবং ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট। একই দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ।

এছাড়াও কলকারখানা খুলে দেওয়া, সুষ্ঠু, সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, কলকারখানায় মাস্তান পোষা বন্ধ করা, শ্রমিকদের সঙ্গে শোভন আচরণ করা এবং শ্রমিক হত্যার বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

এমএম/এমআই/জেডএস