স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন একজন মানুষের পক্ষে যা করার সম্ভব নয় তা সমবায়ের মাধ্যমে দশজন মানুষ একত্রিত হয়ে অনায়াসে সম্ভব করতে পারে। ব্যক্তি মানুষের ছোট ছোট পুঁজিগুলো একত্রিত করে সমাজের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করা সম্ভব।

শনিবার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস এবং  জাতীয় সমবায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নে সমবায়ের বাস্তব প্রয়োগ আমাদের দেশে সফল হয়েছে। বার্ডের অনুসরণে দক্ষিণ কোরিয়াতেও সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফলতা পাওয়া গেছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সমবায়কে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরাও সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণন করে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সমবায়ের ওপর যেভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও একইভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৫ শতাংশ। একটানা ৩ মেয়াদে সরকার পরিচালনার ফলশ্রুতিতে গত সাড়ে ১৪ বছরে এ হার ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের অসহায়-দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বর্তমানে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  

এসএইচআর/এসকেডি