বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। কনস্টেবল আমিরুল হত্যায় কার ইন্ধন ছিল, সে বিষয়ে জানতে গতরাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে রিমান্ডে নিতে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটা বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমীর খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন,  আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি। 

২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ মামলার যারা আসামি তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছে, এখনও আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আজ তাকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব। রিমান্ডে এলে কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে, কারা কারা ছিল স্টেজে, কারা ইন্ধন জুগিয়েছে, সেগুলো আমরা খুঁজে বের করে বাকিদের গ্রেপ্তার করব। ২৮ অক্টোবর এবং অবরোধের দিনগুলোতে যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি, আমরা শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

এমএসি/এনএফ