ঢাকাকে একটি স্মার্ট ও সবুজ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে লন্ডন ও ঢাকা যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুক।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) গুলশান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ভবনে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকার পাশে থাকার কথা জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ইউকে'স ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিসের (এফডিও) সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রথম ধাপে যানজট নিরসনের উদ্যোগগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, ট্রাফিক সিগন্যাল, যানজট নিরসনে কাজ করবে সংস্থা দুটি। 

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুক এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ভৌগোলিকভাবে ঢাকা অনেক সম্ভাবনাময় শহর। বিপুল জনসংখ্যার এই শহরে যদিও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যানজটের কারণে পথে অনেক সময় ব্যয় হয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে লন্ডনের পরিবহন ব্যবস্থার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এই সমঝোতার ফলে ঢাকাকে একটি স্মার্ট ও সবুজ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে লন্ডন ও ঢাকা যৌথভাবে কাজ করবে।

এ চুক্তি স্বাক্ষরকে মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে আজকের এই সমঝোতা চুক্তির ফলে ঢাকা লন্ডনের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে এই ধরনের পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এএসএস/এমজে