তীব্র যাত্রী সংকটে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ছে অর্ধেক
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ ছেড়েছে ২৯টি। অবশ্য অবরোধ ব্যতীত সদরঘাট থেকে দৈনিক দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ৬৫-৭০টি লঞ্চ চলাচল করত। অবরোধের ফলে তীব্র যাত্রী সংকটে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচলের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ নোঙর করা থাকলেও তীব্র যাত্রী সংকটে লঞ্চ ছাড়ছেন না মালিকেরা। যে কয়টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে, তাতেও ধারণক্ষমতার এক-চতুর্থাংশ যাত্রীও নেই। হাঁক-ডাক করেও যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চ কর্তৃপক্ষরা।
বিজ্ঞাপন
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে লঞ্চে ৬০ শতাংশের বেশি যাত্রী কমে গেছে। আমাদের তখন থেকেই প্রতিটি ট্রিপে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এরপর উপায় না পেয়ে গত ১০ আগস্ট থেকে কিছুটা লোকসান কমাতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করেন লঞ্চ মালিকেরা। এখন আবার দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তাতে আমাদের লঞ্চ মালিকদের ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা এসে পড়েছে।
পারাবত-১২ লঞ্চের সুপারভাইজার সুমন বলেন, গত দুই দিন যাবৎ লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে। বাধ্য হয়ে অনেক লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাও যাত্রী হয়, তা আমাদের লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ কম। এতে প্রতি ট্রিপে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে লঞ্চ মালিকদের।
বরিশালগামী যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, রাস্তায় হুট করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাই এ মুহূর্তে লঞ্চে ভ্রমণ নিরাপদ বলে মনে করছি। এমন টানা অবরোধ-হরতাল থাকলে মানুষের মাঝে তো কিছুটা হলেও ভয় কাজ করে।
এদিকে, যাত্রী কম হওয়ায় কথা স্বীকার করে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, অবরোধে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম লক্ষ্য করছি। তারপরও সব রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় লঞ্চ কিছুটা কম ছেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এমএল/কেএ