জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। এই বাংলার জল, কাদা ও মাটি মেখে তিনি বেড়ে উঠেছেন। নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বঙ্গবন্ধু আজন্ম কাজ করে গেছেন। গণমানুষের কল্যাণই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন।

বুধবার (০১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের এল.ডি হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাণী’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাণী’ সংকলনটি আকারে ছোট হলেও এর বিষয়বস্তু অনেক গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। সূচিপত্রের ১৭টি বিষয়ভিত্তিক বিভাজন এবং বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় জলছাপের মাধ্যমে বিরল মুহূর্ত ও ঐতিহাসিক ঘটনা নতুন প্রজন্মের মানসপটে ভেসে উঠবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বাধীনতা পূর্ববতী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে তেইশ বছর কেটেছে আন্দোলন-সংগ্রামে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার আজন্ম লালিত সোনার বাংলা গঠনের জন্য এদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দরদ দেখিয়েছেন।

শিরীন শারমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন আর বাণীগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নিজস্বতা ও স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তিনি তার বাণী প্রদান করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার আরাধ্য স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএস অ্যাকাডেমিতে এসব বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের কাছে সর্বস্তরে পৌঁছানোর জন্য এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনন্য। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা মুখবন্ধ এই গ্রন্থটিকে আরও ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী বক্তব্য রাখেন করেন। 

এসআর/কেএ