প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উদ্বোধন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথভাবে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গণভবন থেকে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লি থেকে যুক্ত হন নরেন্দ্র মোদি।

প্রকল্প তিনটি হলো : আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ। এজন্য আমি নরেন্দ্র মেদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এসময় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আমাদের অর্জন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লাভ করেছে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভারত সরকার বলেছে, এই প্রকল্পগুলো ভারতের সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংযোগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। 

আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেলসংযোগa প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেলপথটি চালুর ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। জানা গেছে, উদ্বোধনের পর প্রথমদিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তী সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।

জেডএস