নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো মন্ত্রী তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মন্ত্রীরা কোনো রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না, এটাই নিয়ম। কিন্তু সরকার থেমে থাকবে না। সরকারি দৈনন্দিন যে কাজগুলো সেগুলো কিন্তু করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকালীন কোনো সরকার গঠিত হচ্ছে না। বরং তফসিল ঘোষণার পর এ সরকারই নিয়মমাফিক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরপিও অনুযায়ী যখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে এবং নমিনেশন সাবমিট করা হবে তখন থেকেই মন্ত্রীরা আর কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন একজন প্রার্থী হিসেবে তাদেরকে ভোট চাইতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ছোট করলে অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ আর হয় না। সেগুলো বাধাগ্রস্ত হয়। সেগুলো যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।

সরকারপ্রধান বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। নির্বাচন এভাবে তারা (বিএনপি-জামায়াত) থামাতে পারবে না। ২০১৩ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালেও পারেনি।

বিএনপির অবরোধের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কীসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ। যখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে, তাদের কাজটাই হলো উন্নয়ন নস্যাৎ করা।

এমএসআই/এমজে