বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় দেশ : মসজিদে নববির ইমাম
সৌদি আরবের মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জনগণ ধর্মীয় বন্ধনের কারণে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াজান এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, মদিনায় পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম বলেছেন বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় দেশ।
শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, মসজিদে নববিতে কর্মরত খাদেমদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক।
সারা দেশে নির্মিত মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম বলেন, যারা মসজিদ নির্মাণ করেন মহান আল্লাহ তাদের অনেক নেয়ামত দান করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মসজিদে নববির ইমামকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় ইমাম সম্মেলনে তার উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামের প্রকৃত মর্মের প্রতি উৎসাহিত করবে।
হজ পালনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৮৪ সালে প্রথম হজ করেছি এবং পরে পিতা বঙ্গবন্ধু ও মা বঙ্গমাতার পক্ষ থেকেও হজ করেছি।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি জেদ্দায় অনুষ্ঠাতব্য ওআইসির নারী বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেব এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করব।
জবাবে শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, আমি মদিনার পবিত্র মসজিদে নববিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রতীক্ষায় থাকবেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপশন (জিসিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রেস সচিব জানান, প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় তিনি ভাসমান পানির গাড়ির মতো দেখতে নেদারল্যান্ডস হেড কোয়ার্টার অফিসের মডেল দেখান এবং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জিসিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেল্ট তৈরি করতে কাজ করছি, অন্যদিকে আমার দল আওয়ামী লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে বনায়নের জন্য চারা রোপণ করে আসছে।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
কেএ