মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত ভুয়া উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়ান আরাফী) বাসা থেকে কয়েকটি বিষয় শিখিয়ে এনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে কথা বলানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, আরেফী আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দী, বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে এটি সত্য নয়। তারা মিথ্যাভাবে আরেফীকে উপস্থাপন করেছেন। তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফী) বলবেন র‌্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে এসে আরেফী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচে থাকেন। সেখানে হাঁটা-চলার মধ্যে দিয়ে পরিচয় হয় হাসান সারোওয়ার্দীর সঙ্গে। তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। আরেফী তখন আমেরিকা চলে যান। হাসান সারোওয়ার্দী তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের আগে আসতে বলেন। গত ২৬ অক্টোবর দেশে এলে হাসান সারোওয়ার্দী আরেফীকে বলেন— ২৮ অক্টোবর বিএনপির একটি র‌্যালি হবে, আপনাকে দেখাতে নিয়ে যাব। এই কথা বলে তাকে নিয়ে আসা হয়।

তিনি জানান, এই কথাগুলো যে তাকে (আরেফী) দিয়ে বলানো হয়েছে, তা তিনি স্বীকার করেছেন। কথাগুলো তার নয়, এগুলো লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সারোওয়ার্দী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল এবং আরও কিছু লোকজন মিলে তাকে শিখিয়ে নিয়ে এসেছেন। বিএনপির নেতারা আরেফীকে কথাগুলো শিখিয়ে দেওয়ার সময় খুব উৎসাহী ছিলেন। 

ডিবি প্রধান বলেন, আরেফী আমাদের বলেছেন— আমার এটা ভুল হয়েছে। আমি জানতাম না এত বড় অন্যায় হয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, শত শত মানুষ আহত হয়েছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। এগুলো আরেফী নিজে থেকেই বলেছেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমরা আরেফীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। এরপর আমরা তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি কেন এই কাজটি করেছেন তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানানো হবে।

এমএসি/কেএ